মনিরুল ইসলাম: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় পিপিআর রোগে আশঙ্কাজনক হারে ছাগল আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে।গত দুই সপ্তাহে এ রোগে উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক ছাগল মারা গেছে।সরকারিভাবে পিপিআর ভ্যাকসিন থাকলেও ঠিকমতো সরবরাহ না করার কারণে এ রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে।
জানা যায়,উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে গৃহপালিত অনেক ছাগলের জ্বর, পাতলা পায়খানা, মুখে ঘা ও শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগ হয় মারা যাচ্ছে।এছাড়া ছাগলের পাশাপাশি শত শত ছাগলের বাচ্চাও মারা যাচ্ছে।
বিভিন্ন খামারিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,বিগত দুই সপ্তাহে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি ছাগল মারা গেছে।মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের খামারি আতাউর রহমানের ৩৩টি, পারোয়াবিল গ্রামের কৃষক ছবুর মিয়ার ১১টি, একই এলাকার চা-শ্রমিক গোপাল নুনিয়ার ৬টি, ইসমাইল মিয়ার ৬ টি, ছয়সিড়ি গ্রামের আব্দুল আলিমের ২টি, আরেক চা-শ্রমিকের ১১টি, কাটাবিল গ্রামের দুই কৃষকের ১৩টি, চা-শ্রমিক অতুল নুনিয়ার ১০টি, রামচন্দ্র গড়ের ১০টি, সুমন দাসের ৫টি, শ্রীনাত ভরের ৩টি, শ্রীনাত দাসের ২টি, সঞ্চয় বীনের ১৩টি, গোপাল নুনিয়ার ৫টি, মাধবপুর চা-বাগানের ৮নং লাইনের শ্রমিক সঞ্জয় দাসের ১৯টি, মাধবপুর বাজারের ইকবাল হোসেনের ২টি, রামনারায়ণ যাদবের ২টি, কাটাবিলের সুজিত কাহারের ৩টি, রামদয়াল ভরের ৪টি, রুহিত লাল ভরের ৪টি, বসন্ত কৈরীর ২টি, শ্রীরাম ভরের ২টিসহ একই এলাকার আরও কয়েকজন কৃষক ও চা-শ্রমিকের প্রায় ৫ শতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়।
ভোক্তভোগী খামারিরা জানান, তাদের ছাগল ও ছোট ছোট ছাগলের বাচ্চা পিপিআর রোগে আক্রান্ত।আশঙ্কাজনক হারে এ রোগ দেখা দেওয়ায় খামারিরা পড়েছেন মারাত্মক বিপর্যয়ে। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছে।
তারা আরোও অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি খোঁজ নিতেন, পিপিআর ভ্যাকসিন দিতেন তবে এতো ছাগল একসাথে মারা যেতো না। ’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. হিদায়াতুল্লাহ বলেন, ‘পিপিআর ভাইরাসে ছাগলের মৃত্যুর বিষয়ে বলেন, মূলত লোকবল সংকটের কারণেই মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নেয়া যাচ্ছে না। পিপিআর ভাইরাস হচ্ছে ছাগলের একটি জীবনঘাতী রোগ। যেসকল এলাকায় রোগাক্রান্ত ছাগল রয়েছে সেখানে পিপিআর ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। ’