মোফাজ্জল ইসলাম সজীব, স্টাফ রিপোর্টার: সাধারণত সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে গতিরোধ বা স্প্রিড ব্রেকার দেওয়া হয়।এক্ষেত্রে কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই পরিকল্পিতভাবে গতি রোধ তৈরি করায় এই নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এরই মধ্যে ব্যক্তি-উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য গতিরোধ যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি।গতিরোধ এগুলোর আগে-পরে নেই কোন প্রতীক চিহ্ন,ও লেখা নেই কোন সতর্কবাণী। এমন কি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পিড ব্রেকার গুলো। কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে প্রায় অনেকদিন, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ খোয়াই নদী পর্যন্ত, প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তায় ৩৬ টি গতিরোধক বা স্প্রিড ব্রেকার রয়েছে।শুধুমাত্র আউশকান্দি বিশ্বরোড থেকে নবীগঞ্জ পর্যন্ত ২০ কি.মি রাস্তায় অনেকগুলো স্প্রিড ব্রেকার রয়েছে। একেক জায়গায় দেওয়া হয়েছে তিনটি করে স্প্রিড ব্রেকার। কিছু কিছু স্প্রিড ব্রেকার এত উঁচু যে উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশজুড়ে ঝাকুনি সৃষ্টি হয় এ নিয়ে প্রায় ড্রাইভারদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝুঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে । সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে,সেখানে দেওয়া হয় একটি স্প্রিড ব্রেকার। আর হাট- বাজার দোকান থেকে শুরু করে চা দোকানের সামনে অবাধে স্প্রিড ব্রেকার নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় বিভিন্নভাবে পাকা সড়কের ওপর ইট ও মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে গাড়ির পথরোধ করার চেষ্টা করছে অসচেতন মহল।
লোকমান হুসাইন নামে এক মোটরসাইকেল চালক জানান, উঁচু
স্প্রিড ব্রেকার গুলোতে গাড়ি গতি কমিয়ে উঠার চেষ্টা করলে ও গাড়ি স্প্রিড ব্রেকারের উপর উঠতে চায়না ।তাই বাধ্য হয়ে জোরে চালিয়ে উঠতে হয়,মাঝেমধ্যে ওই স্প্রিড ব্রেকার
গুলোতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই স্প্রিড ব্রেকার গুলোর কারণে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল, চালকরাও সমস্যায় পড়েছেন প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দুর রহমানের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি শীঘ্রই স্প্রিড ব্রেকার গুলোতে রঙ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং জনস্বার্থে যেখানে স্প্রিড ব্রেকার প্রয়োজন শুধু সেখানেই স্প্রিড ব্রেকার থাকবে।বাকি সব স্প্রিড ব্রেকার গুলো অপসারণ করা হোক এটা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।