সেরা ফ্রিল্যান্সারের স্বীকৃতি পেল ওসমানীনগরের শিক্ষার্থী জাহেদ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:43 PM
NL24 News
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:43 PM
সেরা ফ্রিল্যান্সারের স্বীকৃতি পেল ওসমানীনগরের শিক্ষার্থী জাহেদ
ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেটের ওসমানীনগরের শিক্ষার্থী জাহেদ আল হাসান জাতীয় পর্যায়ে সেরা ফ্রিল্যান্সারের স্বীকৃতি "ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড-২০২৪" অর্জন করেছে। গত শুক্রবার ঢাকার কেডিইবি ভবনে অতিথিদের কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করে ১৮ বছর বয়সী জাহেদ। সে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের মাওলানা আব্দুল জলিলের (রহ.) ছেলে।
জানা যায়, পড়া লেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আসছে জাহেদ। তার কাজের জন্য প্রযুক্তি খাতের ’ন্যাশনাল টেক অ্যাডওয়ার্ড- ২০২৪’ এর জন্য তাকে মনোনিত করা হয়। শুক্রবার ঢাকার কেডিইবি ভবনে দেশের সেরা উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সারদের সারিতে থেকে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করে সে। তার এই অর্জনে খুশি হয়েছেন ওসমানীনগরবাসী।
ঢাকার কেডিইবি ভবনে অ্যাডওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং ফাইভারের টপ রেটেড সেলার রাফায়াত রাকিব, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষ ফারজুক আহমেদ, কোডম্যানবিডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মিনহাজুল আসিফ, মাহাদির ইসলাম, ড্রিমস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তাসনিমুল হাসানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহেদ ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি একজন দক্ষ উদ্যোক্তা, স্কাউটার ও সমাজসেবক। সে ইমেন্স হাট নামে একটি আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও গত নভেম্বরে সে ওসমানীনগরে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে সফল হয়েছে ।
জাহেদের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, জাহেদের এই অসামান্য অর্জনে আমরা আনন্দিত। স্কুল জীবন থেকেই সে মানবিক কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে আসছে। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে আরো খ্যাতি অর্জন করবে এই প্রত্যাশা করি।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বলেন, জাহেদের অর্জন আমাদের জন্য গৌরবের। ভবিষ্যৎ জীবনে সে আরো খ্যাতি অর্জন করবে এই প্রত্যাশা আমাদের।
জাহেদ আল হাসান বলেন, এই পুরস্কার শুধু আমার নয়, এটি পুরো ওসমানীনগরবাসীর। আমার পরিবার, টিম এবং সিলেটের জনগণের সমর্থন আমাকে এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।