ইউক্রেনজুড়ে রকেট ও বিমান হামলা, বাজছে সাইরেন
১৮ এপ্রিল, ২০২২, 2:27 PM
NL24 News
১৮ এপ্রিল, ২০২২, 2:27 PM
ইউক্রেনজুড়ে রকেট ও বিমান হামলা, বাজছে সাইরেন
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৩ জন।
বিভিন্ন শহরে মুহুর্মুহু রকেট ও বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। হামলা সম্পর্কে সতর্ক করতে প্রায় সারাক্ষণই সেখানে যুদ্ধের সাইরেন বাজছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মাইকোলাইভ শহরে ক্রমাগত রকেট হামলা চলছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, হামলা চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ নাগরিকদের ওপর মর্টার আর রকেট হামলা চলছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া মারিওপোলকে একেবারে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। শহরের কিছুই যেন আর অবশিষ্ট নেই।
রাশিয়া শহরটিতে প্রবেশ বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছে বলে শহরের কর্মকর্তারা বলছেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিওপোলে দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে রুশ সেনাবাহিনীর। রাশিয়া দাবি করে আসছে বন্দরনগরী মারিওপোল এখন তাদের দখলে।
এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সিমিহল বলেছেন, মারিওপোলের প্রতিরোধ যোদ্ধারা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। এমনকি কৌশলগত শহরটির পতন হয়নি বলেও জানান তিনি।
রাশিয়া যদি এই শহর দখল করতে পারে, তা হলে ক্রাইমিয়া থেকে রাশিয়া পর্যন্ত তারা একটি সরাসরি স্থল সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। এটি হবে রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও সামরিক বিজয়।
সম্প্রতি ইউক্রেনের কিছু সেনা আত্মসমর্পণ করায় রোববার বাকি ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অস্ত্র রেখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল রাশিয়া। তাও প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। কিছু দিন হলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী।
ডোনবাসের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বেসামরিক স্থাপনা টার্গেট করে বোমাবর্ষণ করছেন শত্রুরা।
মস্কো বলছে, মারিওপোলের অবশিষ্ট ইউক্রেনিয়ান সেনাদের সবাই এখন এক বিশাল ইস্পাত কারখানার ভেতর অবস্থান নিয়ে রয়েছে। রাশিয়া আরও বলছে, মারিওপোল শহর এখন প্রায় পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ৬টার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে রুশ বাহিনী বলছিল, তারা আযভস্টাল ইস্পাত কারখানার এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে অস্ত্রসমর্পণ করলে তাদের প্রাণে মারা হবে না।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, যারা এভাবে আত্মসমর্পণ করবে, তাদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধবন্দির সব অধিকার দেওয়া হবে।