ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সেরা ফ্রিল্যান্সারের স্বীকৃতি পেল ওসমানীনগরের শিক্ষার্থী জাহেদ বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ পিএসিতে "গোল্ডেন এ প্লাস" বড় হয়ে জাষ্ঠিস হতে চায় সালমান সংবাদ সম্মেলন প্রবাসীর সম্পত্তি দখল করতে পুলিশ ও বহিরাগতদের দিয়ে হয়রানি ওসমানীনগরে বিএনপি নেতা লিলফর বহিষ্কার আলীপুর নূরানি একাডেমির অসাধারণ সাফল্য জুড়ীতে প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টোকে সংবর্ধনা রাজনগরে ঊষা কে,জি স্কুলে মহান বিজয় দিবস পালিত তাহিরপুরে মহান বিজয় দিবসকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের মিছিল নানা আয়োজনে ওসমানীনগরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ওসমানীনগরে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

#

মোঃ জিতু আহমদ

০৩ ডিসেম্বর, ২০২২,  8:43 PM

news image

ওসমানীনগর:: শীতের আগমনে সিলেটের ওসমানীনগরে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পাশে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানে পিঠা বিক্রি হচ্ছে নানা রখম শীতের পিঠা। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি পেশা হিসাবে সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে পিঠা বিক্রিকেই বাছাই করছেন অনেকেই। এতে করে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন পিঠা বিক্রেতারা। বিকাল হতেই উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দেখা মিলে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানের। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকেন পিঠা বিক্রির ধুম পরে। 

সরজমিনে উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে চুলা নিয়ে বসে আছেন পিঠাবিক্রেতারা।  ক্রেতারা সারিবদ্ধ হয়ে  বসে বা দাড়িয়ে পিঠা কিনে খাচ্ছেন, কেউ আবার বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। উনুনের পাশে বসে পিঠার মজা নিতে দেখা গেছে অনেক পিঠা প্রেমীকে। বেশির ভাগ পিঠা দোকানে ভাপা ও চিতই পিঠার কদর বেশি। চিতই পিঠার সাথে দেয়া হচ্ছে ঝাল দিয়ে শুক্টি ভর্তা অথবা শষ্যের ঝাঁঝ। চালের গুড়ি, নারিকেল এবং গুড় দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভাপা পিঠা।

চলতি শীত মৌসমে পিঠার দাম বেড়েছে দ্বিগুন। গতবছর ৫টাকা প্রতি পিঠা বিক্রি হলেও এবছর তার দাম বাড়িয়ে ১০টা করা হয়েছে। দামের বিষয়ে ক্রেতাদের কিছুটা অনিহা থাকলেও শেষমেষ পিঠার স্বাদ গ্রহন করেই বাড়ি ফিরেন।  

উপজেলার  সাদিপুর বাজার, বেগমপুর বাজার, কলারাই বাজার, গোয়ালাবাজার, তাজপুর বাজারসহ স্থানীয় বাজার গুলোতে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠার দোকান। সন্ধ্যার পর থেকে এসব দোকানে গরম গরম ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা নামে মাটির চুলা থেকে। দোকানির হাত যেন একবারও থামছে না। লাইনে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনতে দেখা গেছে অনেকে। 

তাজপুর বাজারে রাস্থার পাশে বসা পিঠা বিক্রেতা বেগম খাতুন বলেন, এখনও তেমন শীত পড়ে নি! শীত বেশি পড়লে আমাগো পিঠা বেচাকেনা আরো বড়বে। জিনিস পত্র সবকিছুতে দাম বাড়ছে এল্লাইগা আমাগো লাভ কম হয়। আগে একটা পিঠা ৫ টাকা বিক্রি করতাম এখন ১০ টাকা করি।

পিঠা খেতে আসা ক্রেতা ফয়ছল আহমদ বলেন, বাসা বাড়িতে পিঠা তৈরি করতে ঝামেলা মনে হয়। এজন্য আমি প্রায় দিনই এখানে এসে পিঠা কিনে খাই।

গোয়ালা বাজার এলাকার বাসিন্দা মিজান আহমদ বলেন, শীতের পিঠা গরম গরম চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : মারজান আহমেদ