ঢাকা ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ওসমানীনগরে আইএফআইসি গোয়ালাবাজার ব্রাঞ্চের কম্বল বিতরণ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান লাউ চাষ করে লাখপতি জুড়ীর প্রবাস ফেরত সালেহ জুড়ী-কুলাউড়ার শতশিক্ষকের মিলনসভা অনুষ্ঠিত তারেক - জোবাইদাসহ যে ৫ জন‌ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে স্বাগত জানাবেন জুড়ীতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ তাহিরপুরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা জুড়ীতে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ডিবিসি নিউজে নিয়োগ পেলেন ওমর ফারুক নাঈম শীতবস্ত্র কোন প্রকার দয়া নয়, তারেক রহমানের উপহার' শ্রীমঙ্গলে- মহসিন মিয়া মধু

করোনা হয়ে ৫০ দিন কোমায়, জেগে দেখলেন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন

#

১৪ ডিসেম্বর, ২০২১,  12:07 PM

news image

৩৩ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা লরা ওয়ার্ড অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান। এরপর তার জ্ঞান ফেরে ৫০ দিন পরে। এরমধ্যেই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অর্থ্যাৎ কোমা থেকে ফিরে ওই স্কুল শিক্ষিকা দেখলেন ফুটফুটে নবজাতক।

জন্মের প্রথম মাস মাকে ছাড়াই কাটিয়েছে লরা ওয়ার্ডের মেয়ে। লরাও শুনতে পাননি সন্তানের প্রথম কান্না, অনুভব করেননি প্রথম স্পর্শ। মেয়ের প্রথম অনেক কিছুই না-দেখা রয়ে গেল তার। অক্টোবরের মাঝামাঝি সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল এই স্কুল শিক্ষিকার।


তবে তার প্রসব করানো হয় নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে। 

লরা তখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোমায়। আগেই তিনি শুনেছেন, সময়ের অনেক আগে প্রসব না করালে মা-সন্তান কেউই বাঁচবেন না। জ্ঞান হারানোর আগে লরা মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের। 

এরপর তার ঘুম ভাঙে ৩০ সেপ্টেম্বর। 

জ্ঞান ফেরার পর শুরু হয় নতুন যন্ত্রণা। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন লরা। হাতের একটা আঙুলও নাড়াতে পারছিলেন না। লরা বলেছেন, মেয়েকে চোখের সামনে দেখে তাকে নিজের হাতে না ধরার কষ্ট তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। 

পুরো পরিস্থিতিটাই ছিল ভয়ানক হতাশার। 

তারপরও ক্রমাগত লরাকে সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন স্বামী এবং বড় ছেলে উইলিয়াম। লরা জানিয়েছেন, বেঁচে থাকতে গেলে প্রাথমিক যে কাজগুলো করা দরকার, তার কোনোটিই করতে পারছিলেন না তিনি। শিশুর মতোই খাবার খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি হাঁটাও শিখতে হয়েছে তাকে। 

জুনের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন লরা। তারপর থেকে পাঁচটি হাসপাতালে বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা হয়েছে তার। এখনও তিনি বাড়ি ফিরতে পারেননি। এদিকে লরার স্বামী লি শপথ করেছিলেন যে স্ত্রী সুস্থ হয়ে বাড়ি না ফিরলে সদ্যোজাত কন্যার নামকরণও করবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা অবশ্য লরার অনুরোধেই ভাঙতে হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী কন্যার নাম রেখেছেন হোপ। 

নামের বিষয়ে একটু বেশিই অনুভূতিপ্রবণ ছিলেন লরা। হোপ মানে আশা। যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : মারজান আহমেদ