কুলাউড়ায় দেবে যাওয়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
বার্তা সম্পাদক
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 1:54 PM
বার্তা সম্পাদক
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 1:54 PM
কুলাউড়ায় দেবে যাওয়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
বার্তা সম্পাদক ডেস্কঃ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় দেবে যাওয়া সেতু ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর-হাসিমপুর সড়কে ফানাই নদীর উপর প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হয়।
বছরখানেক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে নদী পুনঃখনন করা হয়। এ সময় উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সেতুটি দেবে যায়। এ অবস্থায় সেতুসহ ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই সেতু দিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরশাই, ভাতগাঁও, ও দেওগাঁও, কর্মধার হাসিমপুর এবং রাউৎগাঁওয়ের নর্তন, কবিরাজী ও পালগ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন নানা কাজে সদর ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া বাজারসহ উপজেলা সদরে চলাচল করেন। এ ছাড়া এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাউবো প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে পুনঃখনন করে।
কাজ সম্পন্নের আগেই অতিবৃষ্টিতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। তখন সেতুর মধ্যবর্তী স্থান দেবে যায়। একই সময় সেতুর পূর্ব পাশের বাঁধে রাঙ্গিছড়া-লক্ষ্মীপুর-গুতগুতি সড়কের প্রায় ১০০ ফুট জায়গা ধসে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝখানে দুটি পাকার খুঁটি কাত হয়ে সেতু দেবে গেছে। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন হেঁটে সেতু পার হচ্ছেন। এতে যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ফানাই নদী পুনঃখননের সময় সেতু ও রাস্তার সর্বনাশ ঘটে। সেতুর মাঝখানের খুঁটির কাছ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হয়।
এরপর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদী ভরে গিয়ে খুঁটি কাত হয়ে সেতু দেবে যায়। তারা সংশ্লিষ্টদের কাছে দ্রুত সেতুটির সংস্কারকাজ করার জোর দাবি জানান।
এলজিইডির মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আজীম উদ্দীন সরদার বলেন, ওই স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য ফানাই নদী পুনঃখনন করা হয়েছে। সড়ক ধসে পড়ায় বাঁধে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।