গলাচিপায় ১৫ কপাটের স্লুইসগেট এর বেহাল দশা, কৃষি আবাদী হুমকির পথে
মোঃ মোস্তফা কামাল খাঁন
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 8:32 PM
মোঃ মোস্তফা কামাল খাঁন
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 8:32 PM
গলাচিপায় ১৫ কপাটের স্লুইসগেট এর বেহাল দশা, কৃষি আবাদী হুমকির পথে
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী গলাচিপার ঝুকিঁপূর্ণ ১৫ কপাট স্লুইসগেট এর বেহাল দশা। রক্ষানাবেক্ষন ও সংস্কারের অভাবে বর্তমান সময়ে আমন ও ইরি মৌসুমে পর্যাপ্ত পানির অভাবে কৃষকগোষ্ঠীর ভোগান্তির যেন শেষ নেই বলে প্রান্তিক কৃষকগোষ্ঠীর ভোগান্তি চরমে।
এক অনুুসন্ধানে জান যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ( বা পা উ বো) ইং ১৯৭২ সালে পটুয়াখালী ঠিকাদার ভরসা তুল্লা চৌধুরীর মাধ্যমে ১৫ কপাট স্লুইস গেট নির্মান করা হয়। ১৯৯৭ এবং সর্বশেষ সি,আর,পি সংস্থার মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১৯৯৮ সালে স্লুইস গেট সংস্করণ করা হয়। এটি বোয়ালিয়া খাল যা ৫৬০ একর জমির এরিয়া, প্রায় ১০ কিলোমিটারের অধিক দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ প্রায় ৫০০ ফুট। এটি গলাচিপা, উলানিয়া, পানপট্টি, এবং রতনদি তালতলি ইউনিয়নের সংযোগ খাল। স্লুইস গেটটি বোয়ালিয়া খালের মোহনা থেকে পশ্চিম পাশে নতুন একটি ছোট সংযোগ ছোট খালের মোহনায় নির্মান করা হয়। যা বর্তমানে জরাজীর্ণ ও ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পরে আছে। এছাড়া দীর্ঘ বছর ধরে পানি উঠা নামার স্লুইসগেটির ১৫ কপাট থাকলেও কালের বিবর্তনে অবহেলায় অযত্নে লোহার কপাট গুলো ভেঙ্গে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে বলে সংস্কারের দাবী করেন কৃষক ব্যবসায়ী মহল ও জনপ্রতিনিধি। তারা জানান, কপাট গুলো ভেঙ্গে যাওয়া প্যাডেল না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রতিনিধর মাধ্যমে নিজেদের অর্থায়নে দরি কাচি কিনে কোন রকম পানি উঠানামার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এবিষয়ে স্থানী ইউপি সদস্য মোঃ আবু তাহের গণমাধ্যম কে বলেন, এ ঝুকিঁপূর্ণ ১৫ কপাটের স্লুইসগেটটি এখন আমাদের মরণ ফাদেঁ পরিনিত হয়েছে। জরাজীর্ণ অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় দরি কাচি বাশঁ দিয়ে কোন রকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান স্থানীয় কৃষকগোষ্ঠী এবং দাবী কৃষি আবাদযোগ্য গড়ে তোলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরজমিনে পরিদর্শন করে অতি দ্রুত'ই যেন স্লুইসগেটি রক্ষানাবেক্ষন করে উপজেলার প্রায় চার লাখ জনসাধারণের সুনিশ্চিত পানির ব্যাবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিভিন্ন উপজেলার ঝুকিঁপূর্ণ স্লুইসগেট গুলোর সংস্কার, পূর্ণনির্মাণ করার সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দের চাহিদার চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অর্থ বরাদ্দ হলে দ্রুত'ই বোয়ালিয়া স্লুইসগেটির ব্যাপারে সিদ্ধন্ত নেয়া হবে।