ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সেরা ফ্রিল্যান্সারের স্বীকৃতি পেল ওসমানীনগরের শিক্ষার্থী জাহেদ বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ পিএসিতে "গোল্ডেন এ প্লাস" বড় হয়ে জাষ্ঠিস হতে চায় সালমান সংবাদ সম্মেলন প্রবাসীর সম্পত্তি দখল করতে পুলিশ ও বহিরাগতদের দিয়ে হয়রানি ওসমানীনগরে বিএনপি নেতা লিলফর বহিষ্কার আলীপুর নূরানি একাডেমির অসাধারণ সাফল্য জুড়ীতে প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টোকে সংবর্ধনা রাজনগরে ঊষা কে,জি স্কুলে মহান বিজয় দিবস পালিত তাহিরপুরে মহান বিজয় দিবসকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের মিছিল নানা আয়োজনে ওসমানীনগরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

জুড়ীতে বন্যায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

#

মনিরুল ইসলাম

২৫ জুন, ২০২২,  4:24 PM

news image

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন স্কুল, বেসরকারি এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ।‌ এছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি হাফিজি মাদ্রাসাও বন্ধ রয়েছে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলার ৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায়  ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো সহ মোট ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বন্যার কারণে ১৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯ টি মাদ্রাসায়  পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মিলিয়ে মোট ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার ৩ টি কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে তৈয়ুবুন্নেছা খানম সরকারি কলেজে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এহসান বিন মুজাহির জুড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ৩০ টি বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। 


কালনীগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ দাশ বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি কারণে আমাদের বিদ্যালয়ে পানি উঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।


উপজেলার মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী বলেন, পাহাড়ি ঢলে এ উপজেলার প্রায় সব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমাদের বিদ্যালয়টিকে ইতিমধ্যে সরকার বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে। বন্যার্তরা বিদ্যালয়ের দু-তলা ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের ‌শ্রেণিকক্ষ ও মাঠে পানি থাকায় পাঠ দান বন্ধ রয়েছে। 


উপজেলা ভারপ্রাপ্ত  শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যার কারণে ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।


উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ আলাউদ্দিন বন্যার কারণে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ২৮ টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী  প্রকৌশলী 

মোঃ আল আমিন বলেন, জেলার বন্যায় প্লাবিত এলাকা গুলো থেকে ইতিমধ্যে পানি নামতে শুরু করেছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মনিরুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : মারজান আহমেদ