তাহিরপুরে বেড়াতে এসে এক বন্ধুর গলা কেটে পালিয়েছে ২বন্ধু
শওকত হাসান
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, 5:56 PM
শওকত হাসান
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, 5:56 PM
তাহিরপুরে বেড়াতে এসে এক বন্ধুর গলা কেটে পালিয়েছে ২বন্ধু
শওকত হাসান ।। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বেড়াতে এসে ফারুক মিয়া (২০) নামে এক বন্ধুর গলা কেটে ২বন্ধু পালিয়ে গেছে। ভিকটিম ফারুক মিয়া পার্শ্ববর্তী মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর পুরান পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
বুধবার (২০ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের জামালগড় গ্রাম সংলগ্ন গাজীপুরের রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের জামালগড় গ্রাম সংলগ্ন গাজীপুরের নির্জন রাস্তা থেকে গলাকাটা অবস্থায় তাহিরপুর-বাদাঘাট রাস্তায় ফারুক মিয়াকে আসতে দেখা যায়। চিৎকার শুনে কাছে গেলে তার গলা কাটা দেখে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশ ফারুক মিয়াকে নাম ঠিকানা জিগ্যেস করলে অস্পষ্ট ভাবে তার নাম, বাবার নাম, বাড়ির নাম্বার ও ঠিকানা বলতে পারে। পরে কে গলা কেটেছে জানতে চাইলে ফারুক মিয়া তাদের বলে, দুই বন্ধু তার গলা কেটেছে। এবং ছাতক উপজেলার সৌরভ নামের এক বন্ধুর নাম অস্পষ্ট ভাবে বলতে পারে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, গলা কাটা রোগীর খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের বাবা মা খবর পেয়ে থানায় এসেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিকটিম ফারুকের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ফারুক মধ্যনগর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখছে। আজকে কাজ না থাকায় তাহিরপুরে ঘরতে এসেছে। আসার সময় তার মাকে বলে এসেছে। কার সাথে এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার সাথে এসেছে আমরা কিছুই জানিনা।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, গলা কাটা রোগীর সাথে আপনজন কেউ আসেনি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পুলিশের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ কর হয়েছে।