সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ মহড়ায় ইসরাইল আতঙ্কিত
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:59 PM
NL24 News
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:59 PM
সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ মহড়ায় ইসরাইল আতঙ্কিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে যৌথ মহড়া শুরু করেছে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমানবাহিনী।
বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীকে স্বনির্ভর করতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে এ যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। এ মহড়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইসরাইলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কারণ এতে রুশ বাহিনী অত্যাধুনিক জিপিএস ব্লক সিস্টেম ব্যবহার করছে।
এর ফলে মহড়ায় অংশ অংশ নেওয়া সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ তো দূরের কথা নিজেদের বিমানগুলো পর্যন্ত রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে না।
গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার বন্দর নগরী জাবলেহর হেমেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে রুশ বিমানবাহিনী এবং দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলো ওই যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
বিমানগুলো গোলান মালভূমি থেকে ইউফ্রেটিস নদ পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ সীমান্ত এলাকাে ওপর দিয়ে মহড়ার দেয়। রাশিয়াকে সিরিয়ায় জিপিএস জ্যামার ব্যবহার বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ইসরাইল।
তবে, রাশিয়া ইহুদিবাদী দেশটির এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। মস্কোর দাবি, সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ইসরাইলের দাবি- রাশিয়ার এ জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তাদের রাজধানী তেলআবিবের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান ইঠা-নামায় সমস্যা হচ্ছে।
রাশিয়াকে পাঠানো এক চিঠিতে ইসরাইল জানিয়েছে, সিরিয়ার বন্দর নগরী লাতাকিয়ার পাশে হেমেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে রাশিয়া ওই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে।
সিরিয়ার বিমানঘাঁটি থেকে পরিচালিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছড়িয়ে পড়া ইলেক্টোম্যাগনেটিক তরঙ্গ তেলআবিবের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ইসরাইলের বাণিজ্যক বিমানগুলোর জিপিএস ঠিকমতো কাজ করছে না। এগুলো উঠা-নামায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
কিন্তু রাশিয়া বলেছে, এ অঞ্চলে তাদের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার জন্য এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এটা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। ২০১৫ সাল থেকে বাশার বাহিনীকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। এ কারণেই সিরিয়ায় বারবার হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে ইসরাইল।